১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নে ৬টি মন্দির আছে। প্রতিটি মন্দিরের পাশে স্থায়ী ভাবে শ্মশান ঘাটের ব্যবস্থা আছে যথাঃ ১। গোরাগ্রাম শ্রী-শ্রী কালি মন্দির শ্মশানঘাট, ২। হাদারপার শিব মন্দির শ্মশানঘাট, ৩। কুনকিরী শিব মন্দির শ্মশানঘাট, ৪। মাঠিকাপা মনষা মন্দির শ্মশানঘাট, ৫। উপজাতি মন্দির শ্মশানঘাট, ৬। গোরাগ্রাম শ্রী- শ্রী গৌরাঙ্গ মহা প্রভুর আখড়া শ্মশানঘাট ।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের গোরাগ্রাম হিন্দু পাড়া গ্রামে ভারতীয় উপমহাদেশের বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রী চৈতন্য দেবের আদর্শে অনুপ্রাণীত ১। গোরাগ্রাম শ্রী-শ্রী কালি মন্দির শ্মশানঘাট, ২। হাদারপার শিব মন্দির শ্মশানঘাট, ৩। কুনকিরী শিব মন্দির শ্মশানঘাট, ৪। মাঠিকাপা মনষা মন্দির শ্মশানঘাট, ৫। উপজাতি মন্দির শ্মশানঘাট, ৬। গোরাগ্রাম শ্রী- শ্রী গৌরাঙ্গ মহা প্রভুর আখড়া মন্দিরটি অবস্থিত; যা হিন্দু ধর্মালম্বীদের নিকট তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত।
শ্মশান হল হিন্দু অন্ত্যেষ্টিস্থল। এখানে মৃতদেহ এনে চিতায় দাহ করা হয়। সাধারণতও গ্রাম বা শহরের উপকণ্ঠে কোনও নদী বা জলাশয়ের তীরে শ্মশান গড়ে ওঠে। অধিকাংশ শ্মশানই নদীর ঘাটের কাছে অবস্থিত বলে একে শ্মশানঘাট নামেও চিহ্নিত করা হয়।
"শ্মশান" শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত: "শ্ম" শব্দের অর্থ "শব" ("মৃতদেহ") এবং "শান" শব্দটির অর্থ "শন্য" ("বিছানা")।[১][২] অপর তিন ভারতীয় ধর্ম জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ও শিখধর্মের অনুগামীরাও শ্মশানে মৃতের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
হিন্দু রীতি অনুযায়ী, মৃতদেহকে সৎকারের জন্য শ্মশানে আনা হয়। সেখানে মুখাগ্নিকারীকে দক্ষিণার বিনিময়ে শ্মশানক্ষেত্রের নিকটে বসবাসকারী ডোমের হাত থেকে অগ্নি সংগ্রহ করে চিতা প্রজ্বালিত করতে হয়।[৩]
বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্রগ্রন্থে শ্মশান নির্বাচনের স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: এই স্থান কোনও গ্রামের উত্তর দিকে অবস্থিত হতে হবে এবং শ্মশানের জমির ঢাল দক্ষিণ দিকে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে শ্মশানকে কোনও নদী বা জলের উৎসের নিকটবর্তী হতে হবে এবং তা সাধারণের দৃষ্টিপট থেকে একটু দূরে থাকতে হবে।[৪]
শ্মশানে মৃতদেহ সাধারণত দাহ করা হয় কাঠের তৈরি চিতায়। তবে আধুনিক কালে ভারতের অনেক শহরে আভ্যন্তরীণ শ্মশানগৃহে বৈদ্যুতিক বা গ্যাসের চুল্লিতেও শবদাহ করা হয়।[৫][৬]
হিন্দুরা শ্মশানকে ভূত, প্রেতাত্মা ও উগ্রস্বভাব দেবদেবীদের আবাসস্থল মনে করেন। তান্ত্রিকেরা শ্মশানে তন্ত্রসাধনা করে থাকেন। তাই সাধারণ লোকে রাতে শ্মশানের কাছে যেতে চান না। স্ত্রীলোকের শ্মশানে যাওয়া শাস্ত্রনিষিদ্ধ। পুরুষেরাই শবদাহের জন্য শ্মশানে যেতে পারেন। শুধুমাত্র ডোম ও চণ্ডালেরা শ্মশানে বা শ্মশানের কাছে বাস করে।
শ্মশানক্ষেত্র হল অঘোরী, কাপালিক, কাশ্মীরী শৈব, কৌল প্রভৃতি অধুনা বিরল বামাচারী সাধক সম্প্রদায়ের শবসাধনা জাতীয় বিভিন্ন সাধনার স্থল। ঐন্দ্রজালিক শক্তি অর্জনের জন্য তাঁরা শ্মশানে কালী, তারা, ভৈরব, ভৈরবী, ডাকিনী, বেতাল ইত্যাদির পূজা করেন। বজ্রযান, দোগচেন প্রভৃতি সম্প্রদায়ের তিব্বতি বৌদ্ধ তান্ত্রিকেরাও একই উদ্দেশ্যে শ্মশানে চোদ, ফাওয়া, ঝিত্রো ইত্যাদির সাধনা করেন। শ্মশানাধিপতি নামে এক দেবতাকে সাধারণত শ্মশানের অধীশ্বর মনে করা হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS